- অতিরিক্ত সময় : “অতিরিক্ত সময় ” ধারা পলিসিগ্রাহকদের পরিশোধ্য প্রিমিয়াম পরিশোধ করার জন্য অতিরিক্ত সময়ের অনুদান দেয় I অতিরিক্ত সময়ের আদর্শ দৈর্ঘ্য হলো একমাস বা ৩১ দিন I
- এটা ধরা হয় যে সময়ে প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছে যদি প্রিমিয়াম অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে দেওয়া হয়ে থাকে I সেক্ষেত্রে কোনরূপ জরিমানা ধার্য করা হবে না I
- অতিরিক্ত সময়ের দিন হিসেব করা হতে পারে প্রিমিয়াম দেয় তারিখের পরের দিন থেকে I
পলিসি তামাদি – বাস্তবচিত্র ১
নিম্নলিখিত দুটি পরিপেক্ষিতে বিমা পলিসি তামাদি হতে পারে :
পলিসি গ্রাহক দেয় তারিখ/অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে প্রিমিয়াম না দিলে
একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পলিসি গ্রাহক পলিসি না চালাতে চাইলে
|
অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে কোনো পলিসিকে তামাদি হিসেবে গন্য করা যায় না এবং অতিরিক্ত সময়ে প্রিমিয়াম দেওয়ার অর্থ দেয় সময়ে প্রিমিয়াম দেওয়া I
প্রিমিয়াম দিতে হয় পলিসিতে নির্দিষ্ট করা সময়ে I এই সময়টিকে বলা হয় “দেয় তারিখ ” I
যদি পলিসি গ্রাহক অতিরিক্ত সময়ের মধ্যে মারা যান , বিমাপ্রদেত্তা মৃত্যুকালীন সুবিধা বকেয়া প্রিমিয়াম বাদ দেবে এবং বাকি টাকা তার পরিবারকে দেয় I
|
পলিসি তামাদি – বাস্তবচিত্র ২
এক্ষেত্রে পলিসি তামাদি হয়েছে বলে ধরা হয় I বিমা কোম্পানি কোনো দায়বদ্ধতার মধ্যে নেই যে রামস্বামির পরিবারকে মৃত্যু কালীন সুবিধা দেবে I যদি পলিসিটি অ-বাজেয়াপ্ত করণ অবস্থায় আসে তাহলেই শুধুমাত্র কিছু টাকা পাওয়া যাবে I
তামাদি – পুন:প্রবর্তন ও পুনর্বহাল
|
পলিসি গ্রাহক কি ইচ্ছাকৃত ভাবে পলিসি তামাদি করে ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে , তা নয় I নিচের দুটি কারণের যেকোনো একটি কারণে এটি হতে পারে :
পলিসি গ্রাহকের তরফে অবহেলা/অমনোযোগিতা
সাময়িক আর্থিক সমস্যা
যখন একটি পলিসি তামাদি হয় তখন বিমা কোম্পানি বা বিমা গ্রাহক কেউই সুবিধা পায় না I বিমাপ্রদেত্তা সব সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেয় পলিসিটির অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার জন্য I এই পদ্ধতিকে বলে “পুনর্বহাল” , যা হলো তামাদির বিপরীত I পুনর্বহাল হলো নুতন পলিসির প্রস্তাবের মত গুরুত্বপূর্ণ I
সাধারণ ঝুঁকি নিরীক্ষার লৌকিকতা পুনর্বহালের সময়ের উপর নির্ভর করে যেমন :
পুনর্বহালের সময় ঝুঁকির অনুমান
ঝুঁকি হবে প্রকৃত বিমারাশি থেকে তামাদির তারিখে পরিশোধিত মূল্যের পার্থক্যএর সমান I
ঝুঁকি নির্ধারনকারীর বেছে নেওয়ার অধিকার আছে :
আসল পলিসির শর্ত অনুসারে পুনর্বহাল করা
পরিবর্তিত শর্ত অনুসারে পুনর্বহাল করা
পুনর্বহাল অগ্রাহ্য করা
পুনর্বহালের জন্য ধারাবাহিক সু-স্বাস্থ্যের প্রয়োজন I
পুনর্বহালের সময় নুতন পলিসি নিলে বেশি বয়সের জন্য উচ্চ প্রিমিয়াম হারের কারণে পুরানো পলিসি পুনর্বহাল করা বেশি সুবিধাজনক I
ধরন | শর্ত | কি করা উচিত ? |
সাধারণ পুনর্বহাল | করা হয় যখন পলিসিটির স্বত্বত্যাগ মূল্য হয় | বকেয়া প্রিমিয়াম ও সুদ দিতে হয় সু-স্বাস্থ্যের ঘোষণা জমা দিতে হয় বা বিমাযগ্যতার কিছু অন্যান্য নথি যেমন ডাক্তারি পরীক্ষা |
বিশেষ পুনর্বহাল | যখন পলিসিটি তিন বছরের কম সময় চলেছে এবং পলিসিটির স্বত্বত্যাগ মূল্য হয় নি (অর্থাৎ সঞ্চিত জমা বা নগদ মূল্য অস্তিত্ব লাভ করেনি ) কিন্তু তামাদি অবস্থার মেয়াদ দীর্ঘ, বলা যেতে পারে প্রথম অদেয় প্রিমিয়াম থেকে এক বছর বা তার বেশি সময় পর পলিসি পুনর্বহাল করতে চাইলে I | এটি নুতন পলিসির মতই লেখা হয় , যার শুরুর তারিখ তামাদি পলিসির আসল শুরুর তারিখের দু-বছরের মধ্যে হয় I
মেয়াদপূর্তির তারিখ আসল মেয়াদকে অতিক্রম করবে না I |
ঋণ তথা পুনর্বহাল | শুধুমাত্র সেই পলিসির জন্য যে তার পুনর্বহালের তারিখে পলিসিটির স্বত্বত্যাগ মূল্যের অধিকারী হয়েছে I | এটি পুনর্বহাল নয় কিন্তু দু-ধরনের লেনদেন জড়িত :
-এককালীন ঋণ দেওয়া ও -পলিসির পুনর্বহাল |
কিস্তি পুনর্বহাল | যখন পলিসি গ্রাহক বকেয়া থোক টাকা পরিশোধের অবস্থায় থাকে না এবং বিশেষ পুনর্বহাল স্কিমের অধীন পুনরুজ্জীবিতও করা যায় না I
এক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের বকেয়া সাধারণ পুনর্বহাল স্কিমের অধীনে প্রচলিত রীতিতে গণনা করা হয় I একটি শর্ত আরোপ করা যেতে পারে যে পুনর্বহালের সময় পলিসির উপর কোনো ঋণ বকেয়া নেই I |
পরিশোধ পদ্ধতির (ত্রৈমাসিক বা অর্ধ-বার্ষিক ) উপর নির্ভর করে বিমাকৃতের একটি অর্ধ-বার্ষিক বা দুটি ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম পরিশোধ করা প্রয়োজন I
পরিশোধিত বকেয়া উদ্বৃত্ত টাকা তারপর ছড়িয়ে যায় , প্রিমিয়ামের নির্দিষ্ট তারিখে ভবিষ্যত প্রিমিয়াম পরিশোধের জন্য , দুই বা তার বেশি বছর সময়ে , বর্তমান পলিসি বার্ষিকী বা তারপরে দুটি নুতন পলিসি বার্ষিকী সময়ে I
|
অ-বাজেয়াপ্তকরণ শর্ত
পলিসি তামাদি হলে , বিমা গ্রাহকের বিভিন্ন পছন্দ আছে বিমা আইনে I এগুলিকে বলা হয় অ-বাজেয়াপ্তকরণ শর্ত I
|
পছন্দগুলি হলো :
এইভাবে ভারতীয় আইন অনুসারে প্রিমিয়াম অন্তত: তিন বছর পরপর দেওয়া হলে একটি নিশ্চিত প্রত্যর্পণ মূল্য উপলব্ধ হবে I যদি পলিসি সমর্পণ না করা হয় তাহলে এটি একটি পরিশোধিত পলিসি হিসাবে চালু থাকবে I পলিসি শর্ত সাধারণত আইন অনুসারে নির্দেশিত মূল্যে অধিক উদার প্রত্যর্পণ মূল্য প্রদান করে I
প্রত্যর্পণ মূল্য
আমাদের বুঝতে হবে জীবন বিমায় কিভাবে প্রত্যর্পণ মূল্য নির্ণয় করা হয় I
- জীবন বিমা প্রদেত্তা সাধারণত বিভিন্ন সময়ের সমর্পণ মূল্য কত হবে তার একটি তালিকা তৈরী করে থাকে I ওই তালিকায় প্রত্যর্পণ মূল্য নির্ণয়ের পদ্ধতিও দেওয়া থাকে I
- এই পদ্ধতিটি বিমার ধরন ও প্রকল্প, পলিসির বয়স এবং কতদিন প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছে তার উপর নির্ভর করে থাকে I
কিছু সময় , সমর্পনে কেউ প্রকৃত যত টাকা হাতে পায় পলিসিতে বর্ণিত সমর্পণ মূল্যের থেকে আলাদা হয় I কেন ?
এর কারণ হলো , নিম্নলিখিত বিষয়গুলি সমর্পণ মূল্যের সাথে যুক্ত বা বিযুক্ত হতে পারে :
পরিশোধিত সংযুক্তি
বোনাস বা ডিভিডেন্ড সঞ্চয়
অগ্রিম প্রিমিয়াম প্রদান
প্রিমিয়ামের ফাঁক
পলিসি ঋণ
পলিসি গ্রাহক অবশেষে নিত সমর্পণ মূল্য পায় I সমর্পণ মূল্য হলো পরিশোধিত মূল্যের একটি শতকরা ভাগ I
দেয় প্রিমিয়ামের উপর শতকরা হিসেবে যে সমর্পণ মূল্য পাওয়া যায় তাকে বলে নিশ্চিত সমর্পণ মূল্য I
পলিসি ঋণ সাধারণত পলিসির সমর্পণ মূল্যের একটি শতকরা হিসেবে (যেমন ৯০ %) সিমিবদ্ধ থাকে I
বিমা প্রদেত্তা সাধারণত পলিসি ঋণের জন্য সুদ চান, যেটি অর্ধ-বার্ষিকী বা বার্ষিকীতে পরিশোধ যোগ্য I যদি সুদ না দেওয়া হয় তাহলে সেটি পলিসি ঋণের অংশ হবে এবং ঋণ অপরিশোধিতে অন্তর্গত হবে I
বিমা গ্রাহক পলিসি ঋণ নেওয়ার পর যদি ঋণের সুদ নদে এবং পরবর্তী প্রিমিয়ামও না দেন তাহলে কি হবে ?
এইরকম অবস্থায় , পলিসিটি তামাদি বলে গন্য হবে I যখন কোনো নুতন প্রিমিয়াম আসবে না তাহলে একটি পরিস্থিতির তৈরী হতে পারে যেখানে ঋণের অপরিশোধিত পরিমান এবং না দেওয়া সুদ ( মোট ঋণ ) পলিসির নগদ মূল্যের থেকে অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে I
ঋণের অপরিশোধিত পরিমান এবং না দেওয়া সুদ পলিসির নগদ মূল্যের থেকে অনেক বেশি হয়ে গেলে বিমা প্রদেত্তা কি করবে ?
বিমা প্রদেত্তা বন্ধকী সম্পত্তির দখল গ্রহণ করবে I বিমা প্রদেত্তা বন্ধকী সম্পত্তির দখল গ্রহণ অবলম্বন গ্রহণ করার আগে পলিসি গ্রাহককে একটি নোটিশ পাঠাবে I পলিসিটি সমাপ্ত করা হবে এবং বেঁচে থাকা নগদ মূল্য ঋণ এবং অপরিশোধিত সুদের সঙ্গে স্বমন্বিত করা হবে I কোনো অতিরিক্ত থাকলে তা পলিসি গ্রাহককে পরিশোধ করা হবে I
মনোনয়ন : মনোনয়ন একটি প্রক্রিয়া যা দাবির নিষ্পত্তিকে সহজ করে I
এটা সেই জায়গা যেখানে জীবন বীমাকৃত একটি নাম প্রস্তাব করে যাকে বিমা কোম্পানি তার মৃত্যুর পর আশ্বস্ত টাকা দেবে I
জীবন বীমাকৃত এক বা একাধিক ব্যক্তিকে নিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে মনোনীত করতে পারে I
যেখানে একের বেশি ব্যক্তি নিযুক্ত করা হয় সেখানে মৃত্যুকালীন দাবির টাকা তাদের যুগ্মভাবে অথবা জীবিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের দেওয়া যেতে পারে I কোনো নির্দিষ্ট অংশে ভাগ করে দেওয়া হবে না I পলিসি শুরু হওয়ার পর নিযুক্ত ব্যক্তি মনোনয়ন করতে হলে বিমা প্রদেত্তাকে জানিয়ে তা কার্যকরী করতে হয় I
মনোনয়ন পলিসি কেনার সময় বা তার পরে করা যেতে পারে I
মনে রেখো : মনোনয়ন মনোনীতকে শুধুমাত্র বিমাকৃতের মৃত্যুর ঘটনার পর পলিসির টাকা গ্রহনের অধিকার দেয় I মনোনীত ব্যক্তির দাবির টাকার উপর সম্পূর্ণ (বা অংশিক ) কোনো অধিকার নেই I |
যেখানে মনোনীত ব্যাকি নাবালক/নাবালিকা , সেখানে বিমাকৃতকে এই কাজে নিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা প্রয়োজন I নিযুক্ত ব্যক্তিকে কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে তার সম্মতি প্রদর্শনে একটি পলিসি নথিতে সই করা প্রয়োজন I
মনোনীত ব্যক্তি সাবালক/সাবালিকা হলে নিযুক্ত ব্যক্তি তার পদমর্যাদা হারাবেন I বীমাকৃত যেকোনো সময় কাজে নিযুক্ত ব্যক্তির পরিবর্তন করতে পারেন I যদি কোনো ব্যক্তি কর্ম নিযুক্ত নাহয় এবং মনোনীত ব্যক্তি নাবালক/নাবালিকা হয় , তাহলে বিমাকৃতের মৃত্যুর পর মৃত্যুকালীন দাবি বিমাকৃতের আইনগত উত্তরাধিকারীদের দেওয়া হয় I
বিমা আইন , ১৯৩৮-এর ৩৮ নং ধারা অনুযায়ী বিমা পলিসির স্বত্বনিয়োগ
একটি বিমা পলিসি হলো একটি সম্পত্তি I এটি বিক্রি করা যেতে পারে , মর্টগেজ রাখা যেতে পারে , মাশুল বা পুরস্কার হিসেবে দেওয়া যেতে পারে I
বিমা আইনের ৩৮ নং ধারা অনুযায়ী ভারতে স্বত্ব নিয়ন্ত্রিত হয় .স্বত্বনিয়োগ সম্পাদনে স্বত্বনিয়োগী সম্পত্তি স্বত্বের সর্বপ্রকার স্বত্ব অধিকার এবং সুদের অধিকার পান এবং সেই পলিসির মালিক হয়ে যান I শর্ত সাপেক্ষে স্বত্বনিয়োগীর স্বত্বনিয়োগকারী থেকে ভাল অধিকার থাকে না I
শেষ শর্তটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ I এর সহজ অর্থ হলো যে স্বত্বনিয়োগী দাবিযোগ্য হবেন না যদি কোনো কারণে আশ্বস্ত প্রত্যাখ্যাত হয় I স্বত্বনিয়োগে প্রয়োজন হলো উভয়পক্ষের চুক্তি উপযুক্ত হতে হবেএবং আইনগত ভাবে অযোগ্যতার বিষয় হবে না I
পলিসিগ্রাহক হলো স্বত্বনিযগকারী এবং যাকে পলিসি স্বত্বনিয়োগ করা হয় সে হলো স্বত্বনিয়োগী I
স্বত্বনিয়োগের প্রকারভেদ
দু-রকমের স্বত্বনিয়োগ আছে
নি:শর্ত স্বত্বনিয়োগ
|
নি:শর্ত স্বত্বনিয়োগ স্বত্বনিয়োগকারীর সব রকম অধিকার , শিরোনাম এবং সুদ যা তার পলিসিতে ছিল তা স্বত্বনিযগির কাছে হস্তান্তরিত হয় সাবেক বা কোনো ঘটনায় তার সম্পত্তির প্রত্যাবর্তন ছাড়াই I
এইভাবে পলিসি সম্পূর্ণভাবে স্বত্বনিযগির সঙ্গে ন্যস্ত করা হয় I পরবর্তীকালে স্বত্বনিয়োগকারীর অনুমতি ছাড়াই সে পলিসির সঙ্গে যা খুশি করতে পারে I |
শর্তাধীন স্বত্বনিয়োগ
|
শর্তাধীন স্বত্বনিয়োগ পলিসির পূর্ণতার তারিখে বা স্বত্বনিযগির মৃত্যু হলে বিমাক্রিতের জীবদ্দশায় তার কাছে প্রত্যাবর্তন করবে সেটি আরোপ করে I |
বৈধ্য স্বত্বনিয়োগের শর্তাবলী
১. সব ব্যক্তি যারা কাজটি সম্পন্ন করছে (কার্যনির্বাহী ) তাদের অবশ্যই অবাধ অধিকার এবং পদ মর্যাদা নিয়গিত পলিসির নিয়োগ যোগ্য আগ্রহ থাকতে হবে I
২. এটি প্রয়োজন যে স্বত্বনিয়োগ কার্য মূল্যবান বিবেচনা দ্বারা সমর্থিত হবে যেখানে প্রেম ও স্নেহ অন্তর্ভুক্ত হতে পারে I
৩. এটি আবশ্যক যে স্বত্বনিয়োগ কোনো আইন বিরোধী বলপ্রয়োগে করা হবে না I উদাহরণস্বরূপ অন্য দেশে বসবাসকারীকে পলিসি স্বত্বনিয়োগ বিনিময় নিয়ন্ত্রণ বিধান লঙ্ঘন করতে পারে I
৪. স্বত্বনিয়োগী আরেকটি স্বত্বনিয়োগ করতে পারবেন কিন্তু মনোনয়ন করতে পারবেন না , কারণ স্বত্বনিয়োগী বীমাকৃত নয় I
স্বত্বনিয়োগ অবশ্যই লিখিত হতে হবে এবং অন্তত একজন স্বাক্ষী দ্বারা হলফ করাতে হবে I
শিরোনাম হস্তান্তর আসলে পলিসির সত্যায়নের পৃষ্ঠাঙ্কন আকারে বিশেষভাবে ঘোষণা করা হয়েছে I এটাও প্রয়োজনীয় যে পলিসিগ্রাহককে অবশ্যই বিমাপ্রদেত্তাকে স্বত্বনিয়োগ সম্পর্কে নোটিস দিতে হবে I
বিমাপ্রদেত্তা এইধরনের লিখিত কোনো নোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত স্বত্বনিয়োগির পলিসিতে কোনো অধিকার থাকবে না I
পলিসির পুন:স্বত্বনিয়োগ
পলিসি গ্রাহক / বিমাকৃতের অধিকার প্রতিস্থাপনের জন্য একজন স্বত্বনিয়োগী স্বত্বনিয়োগকারীকে পুনরায় পলিসি স্বত্বনিয়োগ করতে পারে I এইরূপ পুন:স্বত্বনিয়োগের ক্ষেত্রে , দাবি নিষ্পত্তির সুবিধার্থে পরে আবার আলাদা করে মনোনয়ন বা স্বত্বনিয়োগ করতে উপদেশ দেওয়া হয় I
আবার , শর্তাধীন স্বত্বনিয়োগের ক্ষেত্রে , স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যু হলো পলিসির মালিকানা আবার বিমাকৃতের কাছে ফিরে আসে I অপরপক্ষে , স্বত্বনিয়োগ নি:শর্ত হলে , মালিকানা প্রয়াত স্বত্বনিয়োগীর সম্পত্তির সাথে যুক্ত হবে I
মূলগত পার্থক্য | মনোনয়ন | স্বত্বনিয়োগ | |
মনোনয়ন বা স্বত্বনিয়োগ কি ? | মৃত্যুর ক্ষেত্রে সুবিধা দাবি করার জন্য একজন ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হলো মনোনয়ন I | অন্য একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অধিকার হস্তান্তর করা হলো স্বত্বনিয়োগ I | |
কখন মনোনয়ন বা স্বত্বনিয়োগ করা যাবে ? | পলিসি প্রস্তাব বা আরম্ভও করার সময় মনোনয়ন করা যাবে I | স্বত্বনিয়োগ শুধুমাত্র পলিসি আরম্ভের পর করা যায় I | |
কে মনোনয়ন বা স্বত্বনিয়োগ করতে পারে ? | মনোনয়ন শুধুমাত্র বীমাকৃত নিজের জীবনের পলিসিতে করতে পারে I | স্বত্বনিয়োগ পলিসির মালিকের দ্বারা হতে পারে , বীমাকৃত যদি যদি পলিসিগ্রাহক হন বা স্বত্বনিয়োগী দ্বারা I | |
এটি কোখায় প্রযোজ্য ?
|
এটি শুধুমাত্র যেখানে বিমা আইন, ১৯৩৮ প্রযোজ্য সেখানেই প্রযোজ্য হবে I | এটি সমগ্র বিশ্বে প্রযোজ্য , স্ব স্ব দেশের সম্পত্তি হস্তান্তর আইন অনুসারে I | |
পলিসিতে পলিসিগ্রাহকের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে কি ? | পলিসিতে পলিসিগ্রাহকের অধিকার ও নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকবে এবং মনোনিতের পলিসি অধীনে আবেদনের কোনো অধিকার নেই I | পলিসিগ্রাহক পলিসির অধীনে তার অধিকারীর অধিকার , শিরোনাম এবং সুদ হারাবেন যতক্ষণ না পুন:স্বত্বনিয়োগ করা হচ্ছে এবং স্বত্বনিয়োগীর পলিসি অধীনে আবেদনের কোনো অধিকার আছে I | |
সাক্ষী কি প্রয়োজন ? | সাক্ষীর প্রয়োজন নেই I | সাক্ষী আবশ্যিক I | |
তারা কি কোনো অধিকার পাবে ? | পলিসিতে মনোনিতের কোনো অধিকার নেই I | স্বত্বনিয়োগী পলিসিতে সম্পূর্ণ অধিকার পায় এবং পলিসির অধীনে আবেদন করতে পারে I | |
এটি কি প্রত্যাহার করা যায় ?
|
পলিসি মেয়াদের যেকোনো সময় মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যায় I | একবার স্বত্বনিয়োগ হয়ে গেলে তা আর প্রত্যাহার করা যায় না পুন:স্বত্বনিয়োগ করা যেতে পারে I | |
অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে : | মনোনীত অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে একজন কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিকে নিযুক্ত করা হবে I | স্বত্বনিয়োগী অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে একজন অবিভাবক নিযুক্ত করা হবে I |
মনোনিতের বা স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে কি হবে ? | মনোনিতের মৃত্যুর ক্ষেত্রে পলিসির অধিকার পলিসিগ্রাহকের কাছে বা তার আইনত উত্তরাধিকারীর কাছে প্রত্যর্পণ হয় I | শর্তাধীন স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে পলিসির অধিকার বিমাকৃতের কাছে প্রত্যর্পণ হবে , স্বত্বনিয়োগের শর্ত অনুযায়ী I নি:শর্ত স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যুর ক্ষেত্রে তার আইনত উত্তরাধিকারীরা পলিসির অধিকার পাবে I |
বিমাকৃতের মৃত্যু হলে এবং মৃত্যু দাবি পরিশোধের পূর্বে মনোনিতের বা স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যু হলে কি হবে ? | মৃত্যু দাবি নিষ্পত্তির পূর্বে মনোনিতের মৃত্যু হলে , মৃত্যু দাবি বিমাকৃতের আইনত উত্তরাধিকারীদের পরিশোধ করা হবে I | মৃত্যু দাবি নিষ্পত্তির পূর্বে স্বত্বনিয়োগীর মৃত্যু হলে , পলিসির টাকা স্বত্বনিয়োগীর আইনত উত্তরাধিকারীরা পাবে এবং বীমাকৃত যিনি স্বত্বনিয়োগকারী তিনি নন I |
ঋণদাতাদের পলিসিতে সংযুক্ত করতে পারেন কি ? | ঋণদাতাদের পলিসিতে সংযুক্ত করা যাবে যাদের এতে মনোনয়ন আছে I | ঋণদাতাদের পলিসিতে জোড়া যাবে না যদি না স্বত্বনিয়োগ ঋণদাতাদের প্রতারণা করা হয়েছে দেখানো হয় I |
পরিবর্তন
উদাহরণ ১ :
আমি একটি ১০ লাখ টাকার জীবন বিমা নিয়েছি I আমি ত্রৈমাসিক প্রিমিয়াম প্রদান করি I এখন , আমি এটি বার্ষিক প্রিমিয়ামের পলিসিতে পরিবর্তন করতে চাই I এটা কি সম্ভব ?
উদাহরণ ২ :
আমি একটি ৫ লাখ টাকা বিমারাশির জীবন বিমা নিয়েছি I এখন আমি বিমারাশি বাড়িয়ে ১০ লাখ করতে চাই I এটি কি সম্ভব ?
বিমাপ্রদেত্তা পলিসি প্রদানের পর পলিসিতে পরিবর্তনের অনুমতি দেয় I
সাধারণত পলিসির প্রথম বছরে পরিবর্তনের অনুমতি নেই I যাইহোক কিছু ব্যতিক্রম আছে I পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া হয় প্রিমিয়াম দেওয়ার ধরনের পরিবর্তন করতে চাইলে বা যে পরিবর্তনগুলি প্রকৃতিতে অপরিহার্য সেগুলির ক্ষেত্রে – যেমন ,
- নামবা /ঠিকানারপরিবর্তন ,
- বয়সবেশিবাকমপ্রমানিতহলেবয়সেরপুন:প্রবেশ ,
- দুর্ঘটনাজনিতসুবিধাবাস্থায়ীঅক্ষমতাইত্যাদিরক্ষেত্রেসুবিধাঅনুদানেরজন্যঅনুরোধ I
পরিবর্তনের প্রভাব
ঝুঁকি নিরীক্ষকের অনুমোদন ছাড়া পরিবর্তন করা যায় না কারণ কিছু পরিবর্তন ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে I
বিমারাশির পরিবর্তন , বৃদ্ধির দিকে , ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে I সেক্ষেত্রে ঝুঁকি নির্ধারণকারী পুনরায়: ঝুঁকি নিরীক্ষা করবে I
পরিবর্তন বিমাপ্রদেত্তার উপর দুরকম প্রভাব ফেলে I
যে পরিবর্তনগুলি ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে না | ঠিকানার পরিবর্তন
প্রিমিয়াম প্রদানের ধরনের পরিবর্তন মনোনয়নের পরিবর্তন মুনাফা বিহীন পলিসিকে মুনাফাযুক্ত পলিসিতে পরিবর্তন বা তার বিপরীত পরিবর্তন একটি পলিসিকে দুই বা তার বেশি ক্ষুদ্র বিমারাশির পলিসিতে পরিবর্তন |
যে পরিবর্তনগুলি ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে
|
প্রকল্পের পরিবর্তন
পলিসির শর্তের পরিবর্তন বিমারাশির পরিবর্তন |